দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে কোন সূচকগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে তার উপর।

ইতিবাচক দিক:

  • জিডিপি প্রবৃদ্ধি: ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১%, যা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো।
  • রপ্তানি বৃদ্ধি: ২০২৩ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৯.৬%, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো খবর।
  • রেমিট্যান্স: ২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।
  • মূল্যস্ফীতি: ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭.৪%, যা ২০২২ সালের তুলনায় কম।

নেতিবাচক দিক:

  • মূল্যস্ফীতি: যদিও মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ সালের তুলনায় কম, তবুও এটি এখনও অনেক উচ্চ।
  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ: ২০২৩ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৪১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
  • টাকার অবমূল্যায়ন: ২০২৩ সালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ২৮% কমেছে।
  • বেকারত্ব: বাংলাদেশের বেকারত্বের হার এখনও অনেক উচ্চ।

অনিশ্চয়তা:

  • বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা: বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা রয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবসময় স্থিতিশীল নয়, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সারসংক্ষেপে বলা যায়, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভালো ও খারাপ দিক উভয়ই রয়েছে। ভবিষ্যতে অর্থনীতি কী দিকে যাবে তা নির্ভর করবে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বহির্ভূত কারণের উপর।