ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার পরপর। চারিদিকে কোনো হইচই নেই। পাখিদের কলরব নেই। সবাই নীরব। হাশমত বিকেলেই হয়তো চলে গেছে। ঘরে বাতি দেওয়া হয় নাই। থাকলে এতক্ষণ ঘরে বাতি জ্বলে উঠত। উঠানের এক পাশেই লেবুতলা। বিশাল বড় লেবুবাগান। লেবুতলায় কয়েকটা ঝিঁঝি পোকা ডেকে যাচ্ছে। কান জ্বালাপোড়া করছে। আকাশে মেঘ জমেছে। কালো মেঘ। চারিদিকে অমাবস্যা রাতের মতো অন্ধকার নেমে এল। প্রচণ্ড হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এলোমেলো করে দিচ্ছে সবকিছু। সৈকত মেম্বার উঠানে একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। সে একবুক সাহস নিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে বলল, ‘কে, কে ওখানে? নীলা না? তুই এখনো বাঁইচে আছস?’ ছায়াটা সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে গেল।